নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংস বিক্ষোভ, ৫ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকারী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে, এবং অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে।





চট্টগ্রামে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে অন্তত চার জন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেবার পর তারা মারা গেছেন বলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ১ জন
নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আজ একদল মাদ্রাসার ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তাদের সাথে আরো একটি মাদ্রাসার ছাত্ররা যোগ দেয়।





এসময় হাটহাজারীতে সহিংসতায় মৃত্যুর খবর পৌঁছলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে আগুন





স্থানীয় পত্রিকা একুশে আলো-র সম্পাদক সেলিম পারভেজ বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে অগ্নি সংযোগ করে এবং শহরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়। তারা বেশ কিছু গাড়িতেও অগ্নি সংযোগ করে।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি করে বলে জানান মি. পারভেজ।





তিনি জানান, তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়।
তবে এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের তরফ থেকে কোন ব্ক্তব্য পাওয়া যায়নি।





চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ





চট্টগ্রামে অন্তত ৪ জন নিহত
এর আগে মি. মোদীর সফরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় শুক্রবারের নামাজের পর বিক্ষোভ হয়। ওই এলাকায় কয়েক ঘন্টা ধরে পুলিশ-বিক্ষোভকারী ব্যাপক সংঘর্ষ চলে – যাতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।





বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ঢাকার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হলে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।





ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ।
ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি বাংলাকে জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত চারজন পরে হাসপাতালে মারা গেছেন।





হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা মুজিবর রহমান হামিদীও তাদের কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হবার কথা নিশ্চিত করেন।
তিনি দাবি করেন যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে – তবে এ খবর পুলিশ বা স্বাধীন কোন সূত্র থেকে নিশ্চিত করা যায়নি।