মেহেদী হাসানের পেসে উড়ে গেলো রাজশাহী
জিততে দরকার ছিল ২৮৩ রানের। আগের দিন ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে রাখায় শেষ দিনে জিততে রাজশাহীর আর প্রয়োজন ছিল ১৩৬ রানের। চট্টগ্রামের দরকার ছিল ৫ উইকেটের। মনে হচ্ছিল লড়াই হবে সেয়ানে-সেয়ানে; কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। শেষ দিন সকালের সেশনেই শেষ হয়ে গেছে সব নাটকীয়তা।





চট্টগ্রামের বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণের সামনে আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন সকালে মাত্র ৪৭ রান যোগ করেছে ফরহাদ রেজার দল। ৬৯ ওভারে ১৯৪ রানে গুঁড়িয়ে গেছে রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৮৮ রানের বড় ও স্বস্তির জয়ের হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে মুমিনুল হকের দল চট্টগ্রাম বিভাগ।





দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তরুণ পেসার মেহেদী হাসান রানা। শেষ দিনে আজ তিনি একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। আগেরদিন নিয়েছিলেন একটি। ১৭ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন তিনি। ৩ উইকেট নেন ইরফান হোসাইন। প্রথম ইনিংসেও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। দুই ইনিংস মিলে ৭ উইকেট- ম্যাচ সেরার পুরস্কার স্বাভাবকিভাবেই উঠলো রানার হাতে।





রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ২৮৩ রানের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় রাজশাহীর সামনে। তৃতীয় দিন শেষে ১৪৭ রানেই ইনিংসের অর্ধেকটা খুইয়ে বসে রাজশাহী।





অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি (২৩), তানজিদ হাসান তামিম (২৮), ফরহাদ হোসেন (৪), তৌহিদ হৃদয় ২৩ ও সাব্বির রহমান রুম্মন শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেও দুই অভিজ্ঞ যোদ্ধ জুনায়েদ সিদ্দিকী (৫১) আর ফরহাদ রেজা (১৪) ছিলেন ক্রিজে।





বৃহস্পতিবার চতুর্থ ও শেষ দিনে কি হবে? এটাই ছিল দেখার; কিন্তু কিছুই হয়নি। ৫১ রানে অপরাজিত থাকা বাঁহাতি জুনায়েদ অপরাজিত থেকে যান ৬৮ রানে। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। অধিনায়ক ফরহাদ রেজার ইনিং শেষ হয় ২৫ রানে।





চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস : ২৮৭/১০, ১০১.২ ওভার ও দ্বিতীয় ইনিংস : ১৪৭/১০, ৫০.৫ ওভার (ইরফান শুক্কুর ৬৫, মাহমুদুল হাসান জয় ৩৯, শাহাদাত হোসেন দিপু ১৮, মুমিনুল হক ১৩, ফরহাদ রেজা ৩/৩৭, তাইজুল ৩/৪৮ ও তৌহিদ হৃদয় ৩/১৯)।





রাজশাহী প্রথম ইনিংস : ১৫২/১০, ৪৪.৩ ওভার ও দ্বিতীয় ইনিংস : ১৯৪/১০, ৬৯ ওভারে (জহুরুল ২৩, তানজিদ তামিম ২৮, জুনায়েদ ৬৮*, তৌহিদ হৃদয় ২৩ ও ফরহাদ রেজা ২৫, ইরফান হোসেন ৩/৪০, মেহেদি হাসান রানা ৪/৩৫, হাসান মুরাদ ১/৩৬, ইয়াসির আলী ১/১৫)।





ফল : চট্টগ্রাম ৮৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মেহেদি হাসান রানা (চট্টগ্রাম)