হৃদয়বিদারক: রাস্তার পাশে ঘুমানো বৃদ্ধকে ঘরে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বৃদ্ধ আবুল হাসেম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। পরিবার থেকে ঠিকমতো ভরণপোষণ আর চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না।এতেই অভিমান করে প্রায় আট দিন আগে বাড়ি ছাড়েন ওই বৃদ্ধ।





চলে যান পাশের লাকসাম পৌর শহরে। সেখানে রাতে ঘুমাতেন রাস্তার পাশে। চলছিলেন মানুষের কাছে হাত পেতে। অবশেষে পুলিশের উদ্যোগে আবুল হাশেম বুধবার রাতে ফিরে গেছেন নিজ বাড়িতে।





বাইরে থাকার সময় আবুল হাশেম আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পা ফুলে যায়। একটি আঙুলে পচন ধরে। স্ট্রোকের কারণে আগে থেকেই ওই বৃদ্ধের ডান হাত একটু বাঁকা ছিল। কষ্টে দিন কাটলেও অভিমানে ঘরে ফেরেননি। তার দুর্দশা দেখে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন লালমাই থানায়। পরে পুলিশ তার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে খবর দেন পরিবারের সদস্যদের। ব্যবস্থা করেন তাকে বাড়ি ফেরানোর।





বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, তিনি বৃদ্ধের ছেলেকে ডেকে বোঝান। এরপর ছেলে তার বাবার কাছে ক্ষমা চান। আশ্বাস দেন, তার ভরণপোষণ ও চিকিৎসার দায়িত্বে আর কোনো অবহেলা হবে না। ওসি বলেন, ‘আমি এখন থেকে ওই বৃদ্ধের খোঁজখবর রাখব। প্রয়োজনে তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিজেই নেবো।’





এদিকে, আবুল হাশেমের বড় ছেলে নুর হোসেন পুলিশকে জানিয়েছেন, চার বছর আগে তার বাবা স্ট্রোক করলে ডান হাত ও ডান পা কিছুটা অবশ হয়ে যায়। ডান হাতের কব্জি বাঁকা হয়ে যায়। তখন থেকেই তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আগে চৌদ্দগ্রামের দরবেশ





মার্কেটে তাদের একটি দোকান ছিল। বাবার অসুস্থতার কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। নুর হোসেন এখন কৃষিকাজ ও টিউশনি করে সংসার চালান। তার ছোট এক বোন ও এক ভাই স্কুলে পড়ে। এরপরও তারা চেষ্টা করেন বাবার সঠিক সেবা করতে। বাবা তবু অভিমানে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। আগেও আরেকবার বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি।




