স্বামী হত্যার ৮ মাস পর স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
মাদারীপুরের রাজৈরে আলোচিত ইকবাল মোল্লা হত্যাকাণ্ডের আট মাস পার হতে না হতেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী প্রায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে চাপের মুখে স্বীকার করেন, নিহত ইকবালের বড় ভাই মঞ্জুর মোল্লার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তার এমনটা ঘটেছে।





এদিকে, মঞ্জু বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (১৮ মার্চ) গভীর রাতে সদর উপজেলার শ্রীনদী থেকে মঞ্জুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।





পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার উমারখালী গ্রামের সুন্দর আলী মোল্লার দুই ছেলে মঞ্জুর মোল্লা (৪৫) ও ইকবাল মোল্লা (৪০)। বড় ছেলে মঞ্জুর তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন এবং মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ছোট ছেলে ইকবাল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে সুদের টাকা আদান-প্রদান করতেন। কিন্তু ইকবাল খুন হওয়ার পর থেকে স্ত্রী-সন্তান রেখে পিতাসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে থাকা শুরু করেন মঞ্জুর।





অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় জনসম্মুখে প্রকাশ পায় তাদের সম্পর্কের ঘটনা। পরে ভাশুর মঞ্জুরের কাছে সন্তানদের পিতৃ পরিচয় দাবি করেন নিহত ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী। অস্বীকার করায় সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী গ্রামে বাবার বাড়ি ফিরে যান এবং ধর্ষণ মামলা করে। এতে জনমনে সংশয় ভাশুর ও ভাবির এই পরকীয়ার জেরেই কি ইকবাল খুন হয়েছে? নাকি আরও গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে?





এ ব্যাপারে নিহত ইকবালের প্রথম স্ত্রী মুর্শিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী জীবিত থাকতেই তাদের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারাও আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমি মামলা করব।’





মামলার বাদী অন্তঃসত্ত্বা নারী বলেন বলেন, ‘আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য একটা সুস্থ বিচার চাই।




