করোনা রোধে ২১ মার্চ থেকে পুলিশের কার্যক্রম শুরু
দেশে করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা বাণিজ্য ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পুলিশ অডিটরিয়ামে করোনা সচেতনতা নিয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।





আইজিপি বলেন, ২১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে মাস্ক পরা উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। পুলিশের এই কার্যক্রমের স্লোগান- ‘মাস্ক পরা অভ্যেস, কোভিড মুক্ত বাংলাদেশ। দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই মানতে হবে। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পুলিশ জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝুঁকি





নিয়ে কাজ করেছে। পুলিশ সদস্যরা মরদেহ সৎকার করেছে। খাবার বিতরণ করেছে। এ পর্যন্ত পুলিশের ৮৭ জন সদস্য করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজারের অধিক সদস্য।





করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলায় দেশব্যাপী পুলিশের উদ্যোগ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশের নির্দেশিকা (এসওপি) বিতরণ, পুলিশের লোগো সম্বলিত ফ্রি মাস্ক বিতরণ, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ; সচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা;





করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের দাফন, পুলিশের অব্যবহৃত স্থাপনা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর। ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে করোনা সংক্রান্ত আগত কলের সাড়াদান, পুলিশ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে কোভিড পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রদান, পুলিশ হাসপাতালে পুলিশ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান।





বেনজীর আহমেদ বলেন, যেকোনও সভা-সমাবেশ পরিহার করা গেলে ভালো। তবে যদি করতেই হয় তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে। বঙ্গববন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে অতিথি ছিল মাত্র ৫০০জন। সেখানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে। আইজিপি আরও বলেন, যেকোনও মূল্যে মাস্ক বিহীন বেপরোয়া চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটা না করতে পারলে অবস্থা অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতির দিকে মোড় নিতে পারে; যা কাম্য নয়।





বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশে মারা যান আরও ১১ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৬০৮ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৮৬৫ জনের শরীরে। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া সুস্থ হন আরও ১ হাজার ৫১০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার




