আরাভের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। শ্বশুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন। এ কারণে ২০১৫ সালে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির মামলাও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আট বছর আগে শ্বশুর সেকান্দার আলীকে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরাভ। এ ঘটনায় রমনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের সত্যতা মেলায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। একই বছরের ১০ মে তাঁর বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি। পলাতক থাকায় একই বছরের ২৪ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ২৮ মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যের দিন ধার্য আছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকজন তরুণী আরাভ খানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। মডেলিংয়ের পাশাপাশি স্বর্ণ পাচারে আরাভকে সহযোগিতা করে থাকেন তাঁরা। মূলত রাজধানীর গুলশান এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে তাঁদের যাতায়াত। দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণ পাচারকারীদের সঙ্গেও তাঁদের সখ্য রয়েছে। মূলত স্বর্ণ পাচার করেই বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন আরাভ। তাঁর ঘনিষ্ঠদের তালিকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কণ্ঠকে জানান, আরাভের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। কিছু তথ্য-প্রমাণ মেলার পর শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থপাচার নিয়ে কাজ করা হবে। তিনি অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন কি না, তা তদন্ত করা হবে।
সিআইডি সূত্র বলেছে, আরাভ স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য হতে পারেন। আর এই অবৈধ কারবারের মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে থাকতে পারেন। বিশেষ করে দুবাইয়ে আরাভের জুয়েলারি ব্যবসার শত শত কোটি টাকার উৎস নিয়ে অনেক সন্দেহ রয়েছে। পাশাপাশি আরাভের মাধ্যমে কত টাকা পাচার হয়েছে, সে বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।
Leave a Reply