1. raihantinv@gmail.com : raihantinv :
May 29, 2023, 6:42 pm
Title :
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরিমকে নিয়ে আজহারীর আবেগঘন স্ট্যাটাস দূরে থাকা প্রিয় মানুষকে অনলাইনে পাঠানো যাবে ‘বাস্তব চুমু’! আমার লাশ যেন কাউকে না দেখানো হয়: মৌসুমী নূরে আলম সিদ্দিকী আর নেই রমজানের প্রথম জুমায় আল আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ঢল ৩৫ বছর পর বাবার দেনা শোধ করে ছেলে বললেন ‘পৃথিবীর সেরা কাজটি করলাম’ মসজিদে নামাজ পড়ে এসে দেখেন অটোরিকশা নেই এ বছর সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখবে যেসব দেশ ব্রয়লার মুরগির নতুন দাম নির্ধারণ, কাল থেকে কার্যকর পবিত্র রমজানে মুসলিমদের শুভেচ্ছা জানালেন বাইডেন শাকিবের দাবি সত্য নয় তখন অনেক কেঁদেছিলাম: বুবলী বোন হাসিনাকে বললে আমাকে মন্ত্রী বানাবেন: কাদের সিদ্দিকী বান্ধবীর ধার করা টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন জামালপুরের রিচি

শিশু রোজা রাখার বায়না ধরলে কী করবেন

  • Update Time : Monday, March 20, 2023
  • 51 Time View

বছরের একটি মাস সারা দিন না খেয়ে ইবাদত-বন্দেগি করার নাম রোজা। রমজান মাস উপলক্ষে মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ে। রাতের শেষ ভাগে সাহরি খাওয়া, সন্ধ্যায় মিলেমিশে ইফতারে বড়দের সঙ্গে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেয় শিশুরা। দিনে তাদের খেতে বললে রাজি হয় না। বড়দের মতো তারাও রোজা রাখতে বায়না ধরে, অনেক সময় জেদ করে। শিশুদের বয়স একটু বেশি হলে এবং রোজা রেখে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হলে তারাও রোজা রাখতে পারবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের শিশুর প্রতি একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, রোজা শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক নয়।

শিশু রোজা রেখে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হলে তাকে এ ব্যাপারে বুঝিয়ে বলতে হবে। শিশু রোজা রাখতে বায়না ধরলে তাকে সপ্তাহে একটি বা দুটি রাখার উৎসাহ দিতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা না হলে ধীরে ধীরে দিনের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। তবে শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি বড়দের তুলনায় বেশি। এ জন্য সারা দিনে তাদের কয়েকবার খাবার খাওয়ানোর কথা বলা হয়। ইসলাম ধর্মে সাবালকত্ব অর্জনের পর রোজা রাখতে বলা হয়েছে।

তবে ১৪ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের রোজা রাখতে সাধারণত কোনো অসুবিধা হয় না। সারা দিন না খেয়ে থাকার সামর্থ্য এই বয়সে এসে তৈরি হয়ে যায়। তার পরও শিশু রোজা রাখতে চাইলে তাকে সাহরি, ইফতার, রাতের খাবারে পুষ্টিমানের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। শিশু রোজা রেখে যাতে ভারী কোনো কাজ, রোদে ঘোরাঘুরি, খেলাধুলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। ঘাম হয়ে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

ছোট থেকে রোজা রাখার অভ্যাস করা ভালো। এতে বড় হয়ে আর রোজা রাখতে কষ্ট হবে না। তবে শিশুকে জোর করে রোজা রাখার অভ্যাস করানো যাবে না। মা-বাবাকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। শিশুর রোজা রাখার বিষয়টি পুরোপুরি তার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। ছোটরা রোজা রাখতে ইচ্ছা করলে এবং মনোবল রাখলে তাদের সাহায্য করতে হবে। শিশু রোজা রাখলে ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় খাবার দিতে হবে।

তরমুজের রস, বাঙ্গির রস, মাল্টার রস পান করতে দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফলমূল, দুধ, শাক-সবজি খাওয়াতে হবে। রাতের খাবারে ডিম, মাছ অথবা মাংস দিতে হবে। সাহরিতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে দিতে হবে। এতে শিশুর সারা দিনে শরীরে যে ক্যালরির চাহিদা, তা পূরণ হবে।

ইফতারের পর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত বারবার বেশি বেশি পানি পানে উৎসাহ দিতে হবে। ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। এই চর্চা পরিহার করতে হবে। ভাজাপোড়ার বদলে সালাদ, স্যুপ, দই, চিড়া, নুডলস, সবজি, খিচুড়ি, ফলমূল ও পানি জাতীয় খাবার ছোট-বড় সবার জন্যই নিরাপদ। মনে রাখবেন, শিশু রোজা রেখে সারা দিন অভুক্ত থাকবে বলে সাহরিতে জোর করে বেশি খাবার খাওয়াবেন না। এতে বদহজম হয়ে উল্টো ফল হতে পারে। বরং স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবারের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews