‘ভুয়া ও কথিত প্রযোজক’ নন, রহমত উল্ল্যাহ ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির একজন সদস্য। সমিতিতে রহমত উল্ল্যাহর নামের পাশে ‘বিদেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা উল্লেখ করা আছে। আর ২০১৭ সাল থেকে তিনি সমিতির নিয়মিত চাঁদাও পরিশোধ করে আসছেন।বুধবার দুপুরে বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেন প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু।
রহমত উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। শাকিবের মামলার আবেদন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সেদিন রাতেই সাংবাদিকদের শাকিব বলেন, রহমত উল্ল্যাহ একজন ভুয়া প্রযোজক।শাকিব আরো বলেন, এই বাটপাড়-প্রতারক রহমত উল্ল্যাহ শুধু আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি, এই দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই দেশের লাখো মানুষ যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমার মনে হয়, এই রহমত উল্ল্যাহ একা ছিল না।
তিনি বলেন, এই রহমত উল্লাহর পেছনে অনেক লোক জড়িত। না হলে এই রহমত উল্ল্যাহর মতো এমন ভুয়া প্রযোজক নামধারী বাটপাড়, ভুয়া প্রযোজক সেজে আমার নামে বিচার চেয়েছে। এই কথাগুলো ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের। যা তিনি গেল দুই দিন ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলে আসছেন।গত ১৫ মার্চ (বুধবার) প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ এই নায়কের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে বিস্তর অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে।
যেখানে তিনি তুলে ধরেন অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর সব অভিযোগ। যা নিয়ে সরগরম শোবিজ অঙ্গন। বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেও কোনো ফল হয়নি। বরং হয়েছে উল্টোটা। শাকিব এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় ও ডিবি কার্যালয়েও গিয়েছেন। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। শাকিবের মুখে বারবার বলতে শোনা যায়- ‘রহমত উল্ল্যাহ একজন ভুয়া প্রযোজক ও নামধারী বাটপাড়।’
ভুয়া প্রযোজক কি না এ বিষয়ে জানতে খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শাকিব খান না জেনে বলেছেন। রহমত উল্ল্যাহ ২০১৭ সালে প্রযোজক সমিতির সদস্য হয়েছেন। তার লিপিবদ্ধ সংস্থার নাম বিদেশ বাংলা মিডিয়া।
শুধু তাই না, শাকিব খানের সঙ্গে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং ও মহরতেও দেখা গেছে এই প্রযোজককে। শাকিব চুক্তি করেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স মিডিয়ার সঙ্গে। আর এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয় রহমত উল্ল্যাহর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেফ্যাক্ট।
Leave a Reply