দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে গণমাধ্যমে চলছে আলোচনা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুনকে হত্যা মামলার আসামিও তিনি। তার পরিকল্পনায়ই এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। তবে তার দাবি, তিনি এসব জানতেন না। তিনি হত্যার ঘটনা জেনেছেন ফোনে।
আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম গতকাল একটি পেজের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক ব্লগারকে ১ ঘণ্টা ১ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ভিডিও তিনি নিজের পেজে শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেই ভিডিওতে নিজের রাগ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে নানা কটূকথা বলতেও শোনা গেছে।
মামুন হত্যার বিষয়ে আরাভ খান বলেন, ‘কোর্ট প্রমাণ করবে আমি খুনি কি না!’ হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার অফিসে যখন মার্ডার হয়েছে- তখন আমাকে ফোন করলে ব্যাপারটা জানতে পারি। জানতে পেরে আমি সত্যি সত্যি সেখানে যাই। আমি অফিসের ভেতরে যাইনি ভয়ে। কারণ একটা পুলিশ মার্ডার হয়েছে- আমি যাব কেন। আমি একটা ছেলেকে ডাক দিলাম- বললাম, ভাই সত্যি কি মার্ডার হয়েছে? আমি ওর কাছ থেকে যখন শুনতে পারলাম, আমি আর পুলিশকে নক করলাম না। আমি সোজা চলে গেলাম দেশের বাইরে- মামলা হওয়ার আগেই।’
পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয় জঙ্গলে। রবিউল ইসলামের পরিকল্পনায়ই এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনার পর আটক হলেও তখন অদৃশ্য শক্তির বলে রবিউল ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান বিদেশে। বর্তমানে সেখানে মাফিয়া চক্রের সঙ্গেও তার যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে।
আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে দেশের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সম্পর্কে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করছেন পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
Leave a Reply