বর্ষণে ডুবেছে নিউমার্কেট, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

রাজধানীতে এ বছরের রেকর্ড ভারী বর্ষণের পেরিয়ে গেছে একদিন। এখনও রয়ে গেছে এর ক্ষতচিহ্ন। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির জমা পানি নেমেছে প্রায় একদিন পর, আর এতে ভিজে নষ্ট হয়েছে লাখ লাখ টাকার পণ্যসামগ্রী। তাদের অভিযোগ, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা একেবারে নগণ্য।

বর্ষণে ডুবেছে নিউমার্কেট, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

শুক্র ও শনি, এ দুদিন সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি থাকায় নিউমার্কেট এলাকায় পা ফেলার জায়গা থাকে না। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম থাকে প্রতিটি অলিগলি। কিন্তু এবারের শুক্র শনির চিত্র যেন একেবারে ভিন্ন। পানিতে ভিজে যাওয়া জিনিস পত্র দোকানের বাইরে বের করে রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা।

ভারী বর্ষণ থামলেও বৃষ্টির রেখে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ। পানিতে ডুবেছে পুরো নিউমার্কেট, ভিজেছে কাপড়ের দোকান, জুতা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি দামি ব্যাগ-লাগেজ। যার অনেক কিছুই আর ব্যবহার করা যাবে না। লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বর্ষণে ডুবেছে নিউমার্কেট, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

স্বর্ণের দোকানের অনেক জরুরি কাগজ পত্র ভিজে একাকার। নষ্ট হয়েছে স্বর্ণের অলংকার রাখার ছোটবড় নানা ডিজাইনার বক্স। এ ছাড়া এসব দোকানের সমস্ত ডেকোরেশনের জিনিস পাতলা কাঠ বা পার্টেক্রের তৈরি, তাই বৃষ্টির পানিতে ভিজে ফুলে একেবারে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে।

শুধু তাই ই নয়, নিউমার্কেটের একটা নির্দিষ্ট গলিতে সারিবদ্ধ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। পানিতে ভিজে বিকল হয়েছে বেশ কিছু।

ঠিক অপর গলির চিত্রও একই। দোকান থেকে নামিয়ে পথের ওপর ছড়িয়ে রাখা পানিতে ভিজে যাওয়া বই। যার বাজার মূল্য লাখ টাকার ওপরে। কাগজ পানিতে ভিজলে তা আর কোনো কাজে লাগে না। তাই এসব বই ব্যবসায়ীর মাথায় হাত।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিয়মিত পরিশোধ করেন ভ্যাট-ট্যাক্স। অথচ, সিটি কর্পোরেশনের সেবার মান তলানীতে। তবে, সরোজমিনে ঘুরে দেখা মেলে ভয়াবহ চিত্র। খোদ নিউমার্কেটের ভেতর অধিকাংশ ড্রেন গুলোতে পলিথিনে ঠাসা। যা ফেলেন এখানকার ব্যবসায়ীরাই। এর ফলে, বৃষ্টির পানি জমে ক্ষতি হলো তাদের নিজেদেরই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *