চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা কেঁপে উঠেছে। এছাড়া এই বিস্ফোরণের ফলে লোহার পাত ও টুকরো উড়ে গিয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে। যার ফলে নিহত হয়েছেন ২ জন। তবে সে সময় একই ধরনের দুর্ঘটনা অল্পের জন্য রক্ষা পায় শিশু রাকিব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই ঘরের সামনের উঠোনের সামনে খেলা করছিল ছোট্ট রাকিব। হঠাৎ করেই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। ঠিক তার কয়েক সেকেন্ড পরেই কমপক্ষে ১০০ কেজি ওজনের একটি লোহার বড় টুকরা এসে পড়ল শিশুটির সামনে। বড় লোহার এই টুকরোটি যেখানে পড়ে সেখানে বড় আকারের একটা গর্ত তৈরি হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় এক বৃদ্ধা আহত হন।
শনিবার (৪ নার্চ) বিকালে সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণস্থলের অন্তত ২ কিলোমিটার দূরে কদমরসুল মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ইমাম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি ঘরের দরজা এবং ঘরের চালের কিছু অংশ ভাঙা। লোহার টুকরোটি উড়ে এসে সেখানে পড়লে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়ির লোকজন জানান, লোহার বড় টুকরোটি যেখানে পড়ে তার পাশেই বসে খেলা করছিল ছোট্ট শিশু রাকিব। তবে শিশুটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
শিশুর মা শারমিন সুলতানা জানান, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ তারপর দেখলাম বিমানের মতো কিছু একটা এসে আমাদের ঘরের সামনে পড়ছে যেখানে আমার রাকিব খেলা করছিল। ঘরের পেছনের দিক থেকে আমি চিৎকার করছি কিন্তু আমার পা চলছিল না। আমার বারবার মনে হচ্ছিল আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরো বলেন, আজ হয়তো ফেরেশতারাই আমার ছেলেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ ঠিক যে জায়গায় প্রতিদিন আমার ছেলে বসে খেলা করে লোহার টুকরোটা সেই জায়গায় এসে পড়েছিল। এর ঠিক ৫ মিনিট আগেও আমার ছেলেকে আমি সেখানে বসিয়ে রেখে ঘরের পেছনে পুকুর পাড়ে গিয়েছি। আজ কি কারণে জানি না আমার ছেলে ওখান থেকে উঠে একটু দূরে গিয়ে বসে।
প্রতিবেশী রোকেয়া বেগম ও রহিমা জানান, প্রচণ্ড শব্দের সাথে একটু পরেই লোহার টুকরোটি আমাদের বাড়ির উঠোনে এসে পড়ে। এটি যেখানে পড়ে সেখানে অনেক বড় একটা গর্ত হয়ে যযানাএকই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, যে ধরনের লোহার টুকরো উড়ে এসে মাথায় পড়ে শামসুল ইসলাম নিহত হন একই ধরনের আরও একটি লোহার টুকরা এসে শিশুটির সামনে পড়ে, তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটি বেঁচে যায়।
Leave a Reply