বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এটা শুধু প্রশাসন, পুলিশ দিয়ে দমন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান। গোয়াইনঘাট উপজেলায় এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ রোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়ের কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগেন নারীরা। বিশেষ করে অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণের কারণে নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। মায়ের কারণে অপুষ্ট ও বিকলাঙ্গতাসহ নানা সমস্যায় ভুগতে হয় জন্ম নেওয়া শিশুদের। নবজাতক শিশুদের সম্ভাবনাময়ী ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতায় থাকে। এমনকি, বাল্যবিয়ের কারণে বিচ্ছেদ ও মৃত্যুও হরহামেশাই ঘটে। পাশাপাশি সংসারেও দেখা দেয় নানান সমস্যা।
শুধু আইন প্রয়োগ করে বাল্যবিবাহ রোধ করা যাবে না, আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে বাল্যবিবাহ রোধে এক সাথে কাজ করতে হবে আর এই কাজের জন্য সমাজে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে ইমাম সাহেবদের। কারণ সাধারণ মানুষরা ধর্ম ভিরু। তারা মসজিদের ইমাম সাহেবদের কথা গুরুত্ব সহকারে মান্য করে। তাই প্রচলিত বাল্যবিবাহ রোধে ইমাম সাহেবদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র প্রেমিক ছাড়া প্রশাসনকে বাল্যবিবাহের খবর কেউ জানায় না। সমাজের সভ্য সচেতনরা প্রশাসন, পুলিশকে বাল্য বিয়ে বন্ধে খবর দেন না। এমন মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বাল্য বিয়ে থেকে আমাদের সমাজকে বাঁচাতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম অফিসার শহিদুর ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ, থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মেহেদী হাসান, গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম রব্বানী সুমন, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমিতি গোয়াইনঘাটের সভাপতি মাওলানা আবদুল মতিন, ওয়ার্ল্ড ভিশন গোয়াইনঘাটের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার সেবাষ্টিন আরেং প্রমুখ।
Leave a Reply